ষষ্ঠ শ্রেণি : বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ও পরিমাপ (Class 6 Science Chapter 1)

ষষ্ঠ শ্রেণি : বিজ্ঞান
প্রথম অধ্যায়
বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ও পরিমাপ

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ জ্ঞান কী?
উত্তর : জ্ঞান হলো কোনো কিছু সম্পর্কে তথ্য।
প্রশ্ন ॥ ২ ॥ বিজ্ঞান বলতে কী বোঝ?
উত্তর : বিজ্ঞান এক ধরনের জ্ঞান। বিজ্ঞানের জ্ঞানের সাহায্যে আমাদের অনেক ভ্রান্তবিশ্বাস দূর হয়। প্রকৃতির বিভিন্ন বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমরা সঠিক তথ্য পেতে পারি। যেমন- কীভাবে একটি উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে খাবার তৈরি করে তা জানতে পারি। সুতরাং বিজ্ঞান বলতে আমরা বুঝি প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞান।
প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ কীভাবে আমরা বিজ্ঞানের জ্ঞান অর্জন করি?
উত্তর : পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আমরা বিজ্ঞানের জ্ঞান অর্জন করি। কোনো কিছু সম্পর্কে জ্ঞান অর্জিত হলেই তাকে বিজ্ঞানের জ্ঞান বলা যাবে না। বিজ্ঞানের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে হলে জ্ঞানকে পরীক্ষা, নিরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও যুক্তিযুক্ত চিন্তার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে হবে। এভাবে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ দ্বারা আমরা বিজ্ঞানের জ্ঞান অর্জন করি।
প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ পরীক্ষণ পদ্ধতির ধাপগুলো কী কী?
উত্তর : পরীক্ষণের মাধ্যমে কোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়। পরীক্ষণের ধাপগুলো নিম্নরূপ :
(১) সমস্যা নির্ধারণ
(২) জানা তথ্য সংগ্রহ
(৩) আনুমানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ
(৪) পরীক্ষণের পরিকল্পনা
(৫) পরীক্ষণ
(৬) উপাত্ত বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ
(৭) ফল প্রকাশ
প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ বিজ্ঞানের জ্ঞান অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি কী?
উত্তর : বিজ্ঞানের জ্ঞান অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি পরীক্ষণ।
প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য প্রথমে কী দরকার?
উত্তর : বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য প্রথমে জানা বা বিদ্যমান তথ্যের আলোকে একটি আনুমানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা দরকার।
প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ বেঁচে থাকার জন্য গাছের কী দরকার?
উত্তর : বেঁচে থাকার জন্য গাছের দরকার পানি ও সূর্যালোক।
প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির শেষ ধাপ কোনটি?
উত্তর : বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির শেষ ধাপ হলো ফলাফল প্রকাশ।
প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ মাপজোখের মাধ্যমে আমরা কোন বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারি?
উত্তর : মাপজোখের মাধ্যমে আমরা কোনো কিছুর সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা পাই।
প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ পরিমাপ প্রকাশের জন্য কী কী প্রয়োজন?
উত্তর : প্রত্যেক ক্ষেত্রেই পরিমাপকে একটি সংখ্যা ও একক দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেমন : কোনো কিছুর দৈর্ঘ্য মাপার পরে আমরা বলি ১০ মিটার। কিন্তু যদি বলি ১০ তাহলে কোনো অর্থ বহন করে না। অর্থাৎ পরিমাপকে প্রকাশ করার জন্য একটি সংখ্যা ও একটি এককের প্রয়োজন।
প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ পরিমাপের বৈষম্য দূর করার জন্য কী বিবেচনা করা হয়?
উত্তর : পরিমাপের বৈষম্য দূর করার জন্য পরিমাপের একটি আদর্শ একক বিবেচনা করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ মৌলিক একক কাকে বলে?
উত্তর : যে একক অন্য এককের ওপর নির্ভর করে না এবং নিজে স্বয়ংসম্পূর্ণ তাকে মৌলিক একক বলে।
প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ মৌলিক একক কয়টি?
উত্তর : মৌলিক একক ৭টি। দর্ঘ্যৈরে একক, ভররে একক, সময়রে একক, তাপমাত্রার একক, বিদ্যুৎ-প্রবাহরে একক, আলোক ঔজ্জ্বল্যরে একক ও পর্দাথরে পরিমাপের একক হলো মৌলিক একক।
প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ আয়তনের একককে লব্ধ একক বলা হয় কেন?
উত্তর : আয়তনের একক একটি লব্ধ বা যৌগিক একক।
কোনো কোনো রাশিকে পরিমাপ করার ক্ষেত্রে কেবল একটি একক দ্বারা প্রকাশ করা যায় না। দুই বা ততোধিক এককের গুণ বা ভাগের সমন্বয় দরকার। এরূপ একককে লব্ধ বা যৌগিক একক বলে। যেমন : আয়তনের একক হলো কোনো বস্তুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতার এককের গুণফল। কাজেই আয়তনের একক একটি যৌগিক একক।
প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ সিজিএস পদ্ধতি বলতে কী বুঝ?
উত্তর : সেন্টিমিটার, গ্রাম ও সেকেন্ড পদ্ধতিকে সংক্ষেপে সিজিএস পদ্ধতি বলা হয়। এ পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্যরে একক সেন্টিমিটার, ওজনের একক গ্রাম এবং সময়ের একক সেকেন্ড।
প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ পরিমাপের এসআই পদ্ধতি বলতে কী বোঝ?
উত্তর : পরিমাপের এসআই (ঝও) পদ্ধতির পূর্ণরূপ হলো ()।
পরিমাপের বিভিন্নতার কথা বিবেচনা করে এবং সকল মতবিরোধ দূর করার জন্য ১৯৬০ সালে পৃথিবীতে একটি সাধারণ একক পদ্ধতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এটাই পরিমাপের এসআই পদ্ধতি।
প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক কী?
উত্তর : দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক মিটার।
প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ দৈর্ঘ্য পরিমাপের জন্য কোন স্কেল ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : দৈর্ঘ্য পরিমাপের জন্য মিটার স্কেল ব্যবহার করা হয়। 
প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ ভর পরিমাপের একক কী?
উত্তর : ভর পরিমাপের একক কিলোগ্রাম।
প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ সময় পরিমাপের একক কী?
উত্তর : সময় পরিমাপের একক সেকেন্ড।
প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ বিদ্যুৎ প্রবাহের একক কী?
উত্তর : বিদ্যুৎ প্রবাহের একক অ্যাম্পিয়ার
প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ আলোক ঔজ্জ্বল্যের একক কী?
উত্তর : আলোক ঔজ্জ্বল্যের একক ক্যান্ডেলা।
প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ ক্ষেত্রফল বলতে কী বুঝ?
উত্তর : ক্ষেত্রফল বলতে একটি বস্তুর পৃষ্ঠতল কতটুকু স্থান দখল করে আছে তাকে বুঝায়। কোনো বস্তুর দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ আলাদাভাবে পরিমাপ করে দৈর্ঘ্যকে প্রস্থের সাথে গুণ করলে ক্ষেত্রফল পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ ক্ষেত্রফলের সূত্র কী?
উত্তর : ক্ষেত্রফলের সূত্র হলো দৈর্ঘ্য × প্রস্থ।
প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ সিজিএস পদ্ধতিতে ক্ষেত্রফলের একক কী?
উত্তর : সিজিএস পদ্ধতিতে ক্ষেত্রফলের একক বর্গ সেমি।
প্রশ্ন ॥ ২৬ ॥ আয়তনের সূত্র কী?
উত্তর : আয়তনের সূত্র হলো দৈর্ঘ্য × প্রস্থ × উচ্চতা।
প্রশ্ন ॥ ২৭ ॥ একটি অসম বস্তুর আয়তন কী দিয়ে পরিমাপ করতে হয়?
উত্তর : একটি অসম বস্তুর আয়তন মাপচোঙ দিয়ে পরিমাপ করতে হয়।
প্রশ্ন ॥ ২৮ ॥ মাপচোঙের সাহায্যে কঠিন বস্তুর আয়তন নির্ণয়ে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?
উত্তর : মাপচোঙের সাহায্যে কঠিন বস্তুর আয়তন নির্ণয়ে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, সেগুলো হলো- প্রথমত, মাপচোঙটি একটি সমতল ক্ষেত্রের উপর সোজা রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, পাঠ নেওয়ার সময় চোখকে পানির সমান্তরালে নিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন ॥ ২৯ ॥ তরল পদার্থের আয়তন কী দিয়ে পরিমাপ করতে হয়?
উত্তর : দাগাঙ্কিত মাপচোঙ ব্যবহার করে তরল পদার্থের আয়তন পরিমাপ করতে হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩০ ॥ তাপমাত্রার একক কী?
উত্তর : তাপমাত্রার একক কেলভিন।
প্রশ্ন ॥ ৩১ ॥ তাপমাত্রা নির্ণয়ের জন্য কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : তাপমাত্রা নির্ণয়ের জন্য থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩২ ॥ থার্মোমিটারে কোন একক ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : থার্মোমিটারে ফারেনহাইট একক ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ॥ ৩৩ ॥ থার্মোমিটারে কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : থার্মোমিটারে পারদ ব্যবহার করা হয়।
Previous
Next Post »